বিসর্গ সন্ধির চারটি নিয়ম লেখ
বাংলা ভাষায় নতুন নতুন শব্দ গঠনের অন্যতম মাধ্যম সন্ধি। সাধিত শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে সন্ধির ভূমিকা অসামান্য। কথা বলার সময় তাড়াতাড়ি উচ্চারণ এর ফলে পাশাপাশি দুটি ধ্বনি মিলে এক হয়ে যায় এবং একটির প্রভাবে অন্যটি পরিবর্তিত হয়। উচ্চারণের সময় কাছাকাছি দুই বর্ণের বা ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধি শব্দের অর্থ ‘মিলন’। ধ্বনি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সন্ধির ভূমিকা বিদ্যমান। বাংলা শব্দ উচ্চারণকে স্বাভাবিক ও সহজ করে সন্ধি। ধ্বনি মাধুর্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে সন্ধির ভূমিকা অনন্য।
সন্ধি তিন প্রকার। যথা-
১. স্বরসন্ধি
২. ব্যঞ্জনসন্ধি
৩. বিসর্গসন্ধি
বিসর্গসন্ধি
বিসর্গধ্বনি বা বর্ণের সাথে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনকে বিসর্গসন্ধি বলে। যেমন- আবিঃ+কার= আবিষ্কার
ব্যঞ্জনসন্ধির চারটি সূত্র
১. ত বা থ পরে থাকলে বিসর্গ স্থানে ‘স’ হয়।
নিঃ + তেজ = নিস্তেজ
ইতঃ+তত = ইতস্তত
২. চ বা ছ পরে থাকলে বিসর্গ স্থানে ‘শ’ হয়।
দুঃ+ চরিত্র = দুশ্চরিত্র
শিরঃ+ছেদ = শিরশ্ছেদ
৩. ‘র’ বর্ণ পরে থাকলে বিসর্গ স্থানীয় ‘র’ লোপ পায় এবং পূর্ববর্তী হ্রস্ব-ই কার দীর্ঘ- ঈ কার হয়।
নিঃ+রোগ = নীরোগ
নিঃ+ রস = নীরস
৪. ট বা ঠ পরে থাকলে বিসর্গ স্থানে ‘ষ’ হয়।
ধনুঃ+টঙ্কার = ধনুষ্টঙ্কার
নিঃ+ঠুর =নিষ্ঠুর
Pingback: বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা সাজেসন্স | Cholo Shekhe
Pingback: ব্যঞ্জনসন্ধির চারটি সূত্র লেখ | Cholo Shekhe