বিরাম চিহ্ন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে লেখ
মানুষ মনের ভাব প্রকাশের জন্য কন্ঠস্বরের মাধ্যমে বিভিন্ন বাক্য ব্যবহার করে। বাক্যের বিভিন্ন ভাব সার্থকভাবে প্রকাশের জন্য কণ্ঠস্বরের ভঙ্গির তারতম্য হয়ে থাকে। বাক্যের ভাব যথাযথ ভাবে প্রকাশের জন্য বাক্যের মধ্যে কিছু সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা যতি চিহ্ন বা বিরাম চিহ্ন নামে পরিচিত। মনোভাব প্রকাশের সময় অর্থ ভালভাবে বোঝার জন্য উচ্চারিত বাক্যের বিভিন্ন স্থানে বিরতি দিতে হয়। লেখার সময় বাক্যের মধ্যে দিয়ে তা দেখানোর জন্য কিছু সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহৃত হয় যার নামই বিরামচিহ্ন। কথা বলার সময় গলার স্বরের ওঠানামায় বা বলার ঢং এ বক্তার মেজাজ বোঝা যায়।
বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝাবার জন্য বাক্যের মধ্যে বা বাক্যের সমাপ্তিতে কিংবা বাক্যের আবেগ, জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বাক্য যেভাবে গঠন করা হয় এবং লেখার সময় বাক্যের মধ্যে তা দেখানোর জন্য যেসব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় সেগুলোই যতি বা ছেদ বা বিরাম চিহ্ন ।
বিরাম চিহ্ন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা:
১. বাক্যের অর্থ যথাযথরূপে প্রকাশ করা।
২. বাক্যের পদগুলো নির্দিষ্ট ছক বা রীতি অনুযায়ী সাজিয়ে তোলা।
৩. বাক্যের পদ বিন্যাসের সঙ্গে সঙ্গতি স্থাপন করা।
৪. বাক্যের পদগুলোর মধ্যে ভাবের সঙ্গতি রক্ষা করা।
৫. বক্তার অর্থবহ বাক্য শ্রোতার নিকট নির্দিষ্ট ভাবে পৌঁছে দেওয়া ।
কবিতা বা গদ্যের বাক্য একশ্বাসে উচ্চারণ করা চলে না। আবার কখনো কখনো একসাথে উচ্চারণ করার ইচ্ছা হলে তা একেবারেই অস্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়। কথা বলার সময় শ্বাস- প্রশ্বাস এর সুবিধা ও অর্থবোধক সৌন্দর্যের জন্য জিহ্বাকে মাঝে মাঝে খানিকটা বিশ্রাম দিতে হয়। তাই কথা বলার সময় কোথায় থামতে হবে তা আমাদের জানতে হবে কারণ বিরতি ও গতি বাক্যের প্রাণ।
Pingback: বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা সাজেসন্স | Cholo Shekhe