কি ও কী এর পার্থক্য লেখ
যে কোন শব্দে ব্যবহৃত বর্ণগুলোর বিশ্লেষণকে বলা হয় বানান। মুখে উচ্চারণের সময়ে একাধিক ধ্বনির একইরকম উচ্চারণ হলেও লেখার সময় পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। বাংলা বানানের সাথে সম্পৃক্ত আছে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের মোট ৫০ টি বর্ণ। স্বর বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় কার। বাংলা বানানের নিয়ম না মেনে কোন কিছু লেখা হলে সেটি ভুল বলে বিবেচিত হয়। একইভাবে স্বরধ্বনি ই-কার ও ঈ-কার উচ্চারণের ক্ষেত্রে প্রায় একই রকম হলেও বানানে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। ফলে বাংলা শব্দের ক্ষেত্রে কি এবং কী শব্দদ্বয় দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন মনোভাব প্রকাশ হয়ে থাকে।
নিম্নে কি ও কী এর পার্থক্য নির্দেশ করা হলো-
কি
১. যেসব প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বা না হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ‘কি ব্যবহার করা হয়। যেমন- তুমি কি বাড়ি যাবে? তুমি কি পড়েছ ?
২. বাক্যে সংশয়সূচক কিছু বোঝাতে ‘কি’ ব্যবহার করা হয়। যেমন- সে কি এসেছিল, নাকি আসেনি? কি শীত,কি গরম।
৩. বাক্যে বিস্ময়বোধক ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘কি’ ব্যবহার করা হয়। যেমন- বল কি! তুমি এ কাজ করেছ।
কী
১. যেসব প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বা না হয়ে বর্ণনামূলক হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ‘কী’ ব্যবহার করা হয়।যেমন- কী নাম তোমার ? তুমি কী বই পড়েছ?
২. বাক্যে প্রশ্নোবোধক সর্বনাম হিসেবে ‘কী’ ব্যবহৃত হয়। যেমন- তুমি তাকে কী খেতে দিয়েছ ?
৩. শব্দের প্রথমে বিষ্ময়বোধক অব্যয় ‘কী’ বাক্যের প্রথমে বসে। যেমন- কী সুন্দর!,কী ভয়ানক ইত্যাদি।
Pingback: বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা সাজেসন্স | Cholo Shekhe
আমি জানতে চাই, শিখতে চাই
ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য। আমাদের সাথেই থাকুন।