বিদেশি বর্ণ থেকে বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণের চারটি নিয়ম লেখ
ধ্বনিবিজ্ঞানের পরিভাষার সাথে বিদেশী শব্দ তথা ইংরেজি শব্দের বর্ণান্তরীকরণ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।প্রতিবর্ণীকরণ শব্দটি এসেছে ইংরেজি Transliteration শব্দ থেকে। Transliteration এর আভিধানিক অর্থ বর্ণান্তরিতকরণ বা ভিন্ন ভাষার বর্ণমালায় লিপিবদ্ধকরণ বা প্রতিবর্ণীকরণ । সুতরাং নবাগত বিদেশী শব্দের মূল উচ্চারণের গ্রহণযােগ্যতা বা শুদ্ধতা রক্ষার জন্য যে সব রীতি বা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, তাকে প্রতীবর্ণীকরণ (Transliteration) বলা হয়। । তাই বলা যায়, প্রতিবর্ণীকরণ বিদেশী শব্দের বাংলা ভাষায় বর্ণান্তরীকরণ প্রক্রিয়ার কিছু সংখ্যক নিয়ম-রীতির সমষ্টি ছাড়া আর কিছু নয়। প্রতিবর্ণীকরণের অনেক নিয়ম-পদ্ধতি আছে । যেমন-
(ক) ভাষার মূল শব্দের উচ্চারণে যে যে বর্ণ থাকবে বাংলা বানানেও সে সব শব্দের যথাযথ প্রয়ােগ থাকবে। প্রকৃত উচ্চারণে যদি ‘ঈ বা ‘উ’ থাকে তবে প্রতিবর্ণীকরণের সময় বাংলায় তা হুবহু অনুসরণ করতে হবে। যেমন- ডীন dean, সীল-Seal. বীট-beet, ঈস্ট- east, বিট-bit,ইত্যাদি ।
(খ) যদি মূল শব্দে অ বা বিকৃত এ থাকে, তাহলে শব্দের শুরুতে ‘অ্যা’ এবং মধ্যে ‘এ্যা’ হবে। যেমন- অ্যাসিড-Acid, এন্ড-And, Bed- বেড। হ্যাট-hat অবিকৃত উচ্চারণের ক্ষেত্রে ‘এ’ বসবে।
(ছ) বিদেশী শব্দসমূহের মূল উচ্চারণে ‘s’ থাকলে সেই ক্ষেত্রে ‘s’ এর স্থলে ‘স’ হবে। যেমন-ক্লাস, খাস, জিনিস, আসল, খ্রিস্টাব্দ ইত্যাদি ।
(ঝ) আরবি ‘সিন’, ’সােয়াদ’, ফারসি ‘সে’- এর জন্য বাংলা ভাষায় ‘স’ ব্যবহার করতে হবে । যেমন- ইসলাম, সালাম, মুসলমান, তসলিম, সালাত, সেনি, সেপায়া, সেরা ইত্যাদি।
Pingback: বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা সাজেসন্স | Cholo Shekhe