দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে? শ্রেণি বিভাগ সহ আলোচনা কর।

Spread the love

দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে ? শ্রেণি বিভাগ সহ আলোচনা কর।

যে সমাসে দুই বা ততোধিক পদের মিলন হয় এবং সমস্যমান পদের অর্থ প্রধান থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: মা ও বাবা = মা-বাবা; দা ও কুমড়া= দা-কুমড়া; জন্ম ও মৃত্যু= জন্ম-মৃত্যু।

ব্যাসবাক্যে পূর্বপদ ও পরপদের মধ্যে- এবং ,ও ,আর এই তিনটি অব্যয় পদ ব্যবহৃত হয়। উভয় পদের অর্থ প্রধান হবে।

দ্বন্দ্ব সমাসকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়-
১. সাধারণ দ্বন্দ্ব: দুই বা ততোধিক পদের একত্র অবস্থানে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব সমাসকে সাধারণ দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: লতা ও পাতা= লতা-পাতা; কালি ও কলম= কালিকলম।
২. মিলনার্থক দ্বন্দ্ব : একাদিক পদের মিলন আছে এমন বোঝালে তাকে মিলনার্থক দ্বন্দ্ব বলে। যেমন: মা ও বাবা= মা-বাবা; ভাই ও বোন= ভাই-বোন।
৩. বিরোধার্থক দ্বন্দ্ব: পূর্বপদ ও পরপদের মধ্যে বিরোধ ভাব প্রকাশ পাবে।
যেমন: দা ও কুমড়া= দা-কুমড়া; অহি ও নকুল= অহি-নকুল।
৪. বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব: পূর্বপদ ও পরপদের মধ্যে বিপরীত ভাব প্রকাশ পাবে।
যেমন: ছোট ও বড়= ছোট-বড়; জন্ম ও মৃ্ত্যু = জন্ম – মৃ্ত্যু।
৫. সমার্থক দ্বন্দ্ব: পূর্বপদ ও পরপদের মধ্যে একই অর্থ প্রকাশ পাবে।
যেমন: হাট ও বাজার= হাট-বাজার; টাকা ও পয়সা= টাকা-পয়সা।
৬. প্রায় সমার্থক দ্বন্দ্ব: একটি শব্দের পিঠে অপর একটি শব্দ চলে আসে এবং প্রায় সম অর্থ প্রকাশ করে। যেমন: কাপড় ও চোপড়= কাপড়-চোপড়; চা ও টা =চা-টা।
৭. সংখ্যাবাচক দ্বন্দ্ব: পূর্ব ও পরপদে সংখ্যাবাচক শব্দ ব্যবহৃত হবে ।
যেমন: সাত ও সতেরো= সাত-সতেরো; নয় ও ছয়= নয়-ছয়।
৮. একশেষ দ্বন্দ্ব: ব্যাসবাক্যের অন্য পদ লোপ পেয়ে শেষপদ অনুসারে সমস্তপদ গঠিত হয় তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব বলে। যেমন: সে ,তুমি ও আমি = আমরা; সে ও তুমি = তোমরা।
৯. অলুক দ্বন্দ্ব: যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদগুলোর বিভক্তি লুপ্ত না হয়ে সমস্ত পদেও বিভক্তি যুক্ত থাকে তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে। যেমন: হাতে ও পায়ে= হাতে-পায়ে; মনে ও প্রাণে= মনে-প্রাণে।
১০.বহুপদী দ্বন্দ্ব: তিন বা বহুপদ মিলে যে দ্বন্দ্ব সমাস হয় তাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব বলে।
যেমন: রূপ,রস ও গন্ধ= রূপ-রস-গন্ধ; নাচ,গান ও বাজনা= নাচ-গান-বাজনা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top